ঢালিউডের একসময়ের জনপ্রিয় নায়ক শাকিল খান বলেছেন, ‘১৯৯৩ সাল থেকে আমি ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আমরা তখন পরিবারসহ চট্টগ্রামে থাকতাম। তখন জামাত-শিবিরের হাতে অনেক মার খেয়েছি। ওরা আমাকে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছি একাধিকবার। বাবা আমাকে ভয়ে ঢাকা পাঠিয়ে দেয়।’
নিজের রাজনৈতিক জীবন নিয়ে এভাবেই নিজের প্রতিক্রিয়া জানালেন শাকিল খান। আগামী সংসদ নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মনোনয়পত্র কিনেছিলেন এ নায়ক। তবে শেষপর্যন্ত তিনি মনোনয়ন পাননি।
শাকিল খান বলেন, ‘ঢাকায় এসে খিলগাঁও-শাহাজানপুর এলাকার এক মেসবাড়িতে উঠি। সেখানে অনেকদিন ছিলাম। ১৯৯৭ সালে বাবা মোহাম্মদপুরে একটা ফ্ল্যাট কেনেন, সেখানে গিয়ে সবাই উঠি। তখন রাজনীতি থেকে একটু একটু দূরে গিয়ে ফিল্মে জড়িয়ে যাই। কয়েক বছর পর বাবা মারা যায়। এরপর চলচ্চিত্রে অশ্লীলতা গ্রাস করে। মায়ের নির্দেশে চলচ্চিত্র থেকে সরে যাই। ব্যবসা শুরু করি।’
এরপরই তিনি আবার রাজনীতির প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন জানিয়ে শাকিল খান জানান, ‘গত দুই বছর নিয়মিত বাগেরহাটের আসনে যাতায়াত করেছি। আমি কিন্তু নায়ক হতে ঢাকায় আসিনি। এসেছিলাম জীবন বাঁচাতে। আমি যদি তখন চট্টগ্রাম থাকতাম, হয়তো এতদিনে আমাকে মেরেই ফেলতো। সেই যে একবার ঢাকায় এসেছিলাম, আর চট্টগ্রাম যাওয়া হয়নি।’
একসময়ের সফল এ নায়ক বলেন, আমি মনোনয়ন পাইনি। তাতে কি! আমরা চাই না, বাগেরহাট-৩ আসন থেকে নৌকার পরাজয় হোক। মনোনয়ন না পেলেও নৌকার বাইরে যাবো না। হয়তো আমার পরিশ্রম, ত্যাগ নেত্রীর কাছে পৌঁছায়নি। তারপরেও দলের এমন সিদ্ধান্তে কারো উপর আমার কোনো রাগ নেই।’
সবশেষে তিনি বলেন, ‘ছাত্রজীবন থেকেই দলের সঙ্গে ছিলাম। এখনও আছি, ভবিষ্যতেও থাকবো। দেশে যখন ভালো কর্মকান্ড হয়, তার সঙ্গে নিজেকে জড়ানো উচিত। গত ১০ বছরের দেশে যে পরিমাণে কাজ হয়েছে এটা তো বিশ্বের কাছে বিস্ময়! সারাবিশ্বের মানুষ এখন বাংলাদেশকে চেনে।’
আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন শাকিল খান। বাগেরহাট-৩ আসন (মংলা-রামপাল) থেকে নির্বাচন করতে এরইমধ্যে প্রচার প্রচারণাও শুরু করেছিলেন ‘এই মন তোমাকে দিলাম’ খ্যাত নায়ক শাকিল খান। তবে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে ব্যর্থ হয়েছেন এই চিত্রনায়ক। নিজের পছন্দের দল থেকে মনোনয়ন না পেলেও ক্ষোভ নেই তার।